মূল ওষুধ (Generic name): সিমেটিডিন (Cimetidine)
সিমেটিডিন গণের অনেক ওষুধ বাজারে আছে। যেমন-
১. Cimetidine-CHE (Cadia, Health Care) tablets,
২. Lock-2 tablets (Ladila, Health Care),
৩. Cimetin (P.C.I.),
8 . Tymidin (SPPL) ২০০ মিগ্রা ও ৪০০ মিগ্রা।
• কীভাবে কাজ করে:
১. হাইড্রোজেন গ্রাহক-বিরোধী ক্রিয়া,
২. হিস্টামিনকৃত পাকস্থলী রস নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়।
• ভেষজ-ক্রিয়া: মুখে খাবার সঙ্গে সঙ্গে দেহের ভেতর শোষিত হয়।
• ক্রিয়ার শুরু ও স্থায়িত্ব ৯০ মিনিটে ক্রিয়া শুরু হয়ে যায় এবং চলে ২-৬ ঘণ্টা।
• বিরূপ প্রতিক্রিয়া: ১. চামড়ায় পিত্তানি বা র্যাশ, ২. মাংসগত ব্যথা, ৩. বমি-বমি ভাব, ৪. পাতলা পায়খানা, ৫. বিভ্রান্তি, ৬. দিগভ্রান্তি (Disorientation), ৭. বিষাদভ্রান্তি (Dilusion),
৮. মায়াবিভ্রম (Hallucination), ৯. খিঁচুনি, ১০. যৌন-অক্ষমতা, ১১. পুংস্তন বৃদ্ধি
(Gynaccomastia)
|
• নিষিদ্ধ: অতিসংবেদ্যতা (Hypersensitivity)
|
• বিশেষ সাবধানতা: যকৃত, বৃক্ক সংক্রান্ত রোগ, শারাত্মক পাকস্থলীর রোগে সিমেটিডিন গণের ওষুধ ব্যবহার না করাই যুক্তিযুক্ত। এই গণের ওষুধ ব্যবহার সতর্কতার সঙ্গে এবং
অত্যন্ত অল্প পরিমাণে করবেন।
• মিথক্রিয়া বা আন্তঃক্রিয়া: নিচের ওষুধগুলির কার্যকারিতা যকৃতে সংঘটিত বিপাকক্রিয়া
হ্রাস পাওয়ায় বেড়ে যায়।
১. Benzodiazepines, ২. Caffeine, ৩. ক্যালসিয়াম প্রণালী বাধক ওষুধ (Calcium
channel Blockers), 8. Carbamazepine, ৫. Chloriquin, ৬. Pentoxipylline, ৭. Phenytoin, ৮. Propranol, ৯. Quinidine, ১০. Quinine, ১১. Sulfonylureas,
১২. Theophyllines, ১৩. Triamterene, ১৪. TCAS, ১৫. Warfarin।
• শোষণক্রিয়া কমিয়ে দিয়ে নিচের ওষুধগুলি সেমিটিডিন-এর কার্যকারিতা কমায়:
১৭. লোহাযুক্ত লবণগুলি (Ferrous salts), ১৭. Indomethacine, ১৮. Ketoconazole, ১৯.
Tetracyclines |
• নীচের কর্মক বা এজেন্টগুলি দেহের সিমেটিডিন শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়: ১. অম্লঘ্ন
ওষুধ, ২. প্রতিপিত্তনিঃসারী বা পিত্ত/কোলিন রোধী (Anticholinergics), ৩. Metoclopramide, ৪. ধূম্র সেবনে রাতের পাকস্থলী জাত রস যা সিমেটিডিনের জন্য বাধা পায়, সেটা আর কার্যকরী থাকে না। ৫. ডিজোক্সিন ও ফুকোনাজোলের কার্যক্ষমতা কমে
যায়। ৬: মাদকজনিত বেদনাহর ওষুধগুলির বিষাক্ততা সিমেটিডিন গণের ওষুধগুলি বাড়িয়ে দেয়। ৭. সিমেটিডিন Procainamin-এর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ৮. Succinylcholine: সিমেটিডিন স্নায়ু-পেশি সংযোগস্থলের প্রতিবন্ধকতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য শ্বাসক্রিয়ার কাজ অবদমিত হয়।
• কোন কোন রোগে ব্যবহার হয়: ১. পাকস্থলী, গ্রহণী বা ক্ষুদ্রান্তের ক্ষত। ২. বারবার পরিপাক নালীর ঘায়ে (Recurrent Stomal Ulceration), ৩. খাদ্যনালীর উদিগরণ বা টেকুরজনিত রোগে বা ওই ধরনের রোগে যখন পাকস্থলীজাত রসের হ্রাস অত্যন্ত দরকারী। এর মধ্যে লেগে থাকা অজীর্ণ রোগের লক্ষণ অবশ্যই ধরে নিতে হবে। ৪. Zollinger-Ellison রোগ-লক্ষণ। ৫. চাপজনিত ঘা। ৬. পাকস্থলী প্রদাহ।
• ওষুধের মাত্রা: প্রাপ্তবয়স্কদের পাকস্থলীর ক্যানসার নয় এমন ক্ষতে ৪০০ মিগ্রা দু'বার সকালের জলখাবার ও রাতে শোবার সময়। তীব্র গ্রহণীর ক্ষতে ৮০০ মিগ্রা রাতে শোবার সময় সেব্য।
১
• প্রতিষেধক: ১. পৌনঃপুনিক গ্রহণী ক্ষতে দিনে একবার করে রাতে শোবার সময় ৪০০
মিগ্রা বেশ কয়েকদিন চালিয়ে যেতে হবে। ২. খাদ্যনালীর পাচন ক্ষতে ০.৮ থেকে ১.৬ গ্রাম প্রতিদিন। ৩. দীর্ঘকালীন অগ্নিমান্দ্য বা অজীর্ণ রোগে প্রতিদিন ২০০ মিগ্রা করে দিনে চার বার। খুব বেশি হলে চার সপ্তাহ পর্যন্ত এই চিকিৎসা চলতে পারে।
• মাত্রা: ৮০০-১৬০০ মিগ্রা প্রতিদিন চলতে পারে রোগ মারাত্মক হলে। তবে ওই মাত্রাকে সমান চার ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। সাধারণত রোগ নিরাময় হেতু ৪০০ মিগ্রা প্রতিদিন শোবার সময় সেব্য।
• শিশু: ২০ থেকে ৪০০ মিগ্রা/প্রতি কেজি ওজনে/ ২৪ ঘণ্টার জন্য। কিন্তু ওষুধের মাত্রাকে সমানভাবে ভাগ করে চার থেকে ছয় ঘণ্টা অন্তর খাইয়ে যেতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন