ডায়াজেপাম (Diazepam)
• কীভাবে কাজ করে: যেভাবে
বেনজোডায়াজেপাইন কাজ করে।
ভেষজ-ক্রিয়া :
১. প্রচণ্ড মেদশোষক বলে
পাকস্থলী-অস্ত্র থেকে খুব তাড়াতাড় শোষিত হয়। ভেষজ-ক্রিয়ার পুনর্বণ্টনে অসুবিধা
দেখা যায় যকৃত-আন্ত্রিক রক্তচলাচল ব্যবস্থার জন্য।
২. শিরায় ইনজেকশন
দিলে ওষুধটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে খুব বেশি মাত্রায় জমলে পুনর্বণ্টনের নিয়মে
ডায়াজেপাম মস্তিষ্ক থেকে কমতে আরম্ভ করে।
৩. রক্তরসে
ডায়াজেপানের অর্ধজীবন ২০ ঘণ্টারও বেশি।
৪. যকৃতে ওষুধটির বিপাকীয়
কাজের ফল হিসাবে ডিসমিথাইল ডায়াজেপামের সৃষ্টি হয়, যার রক্তরসে অর্ধজীবন ৮০ ঘণ্টার মতো।
৫. ওষুধটি অমরা বা
গর্ভফুলের বাধা পেরোয় এবং গর্ভবেদনা ওঠার আগে প্রয়োগ করা হলে প্রসববেগের তানহ্রাস
(Hypotonia) ঘটায় এবং
নবজাতকদের শ্বাসক্রিয়ার হ্রাস ঘটায়।
স্থায়িত্ব :
শিরায় ইনজেকশন দিলে সঙ্গে
সঙ্গে, কিন্তু মুখে খেলে
১-২ ঘণ্টার মধ্যে কাজ শুরু হয় এবং কাজ চলে ২৪ ঘণ্টা ধরে।
• বিরূপ প্রতিক্রিয়া :
১. ওষুধে অমিতচারিতা ও
আসক্তি,
২. খিদের অভাব,
৩. বমিভাব,
৪. অবসাদ,
৫. মাথাঘোরা,
৬. অতিসার,
৭. সচেতনতার
অভাব।
• নিষেধ:
১. পেশির গুরুতর
দুর্বলতায়,
২. জটিল ধূসরমথ
বা অ্যাকিউট ন্যারো অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা।
• বিশেষ সাবধানতা :
১. শিরায় সময় নিয়ে
ইনজেকশন দিতে হবে,
২. অন্য ওষুধের
সঙ্গে ইনজেকশন দেওয়া চলবে না,
৩. বৃক্ক ও যকৃত
রোগে।
. আন্তঃক্রিয়া বা পারস্পরিক ক্রিয়া :
১. মদ ও অন্যান্য
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অবসাদক
ওষুধ :
১.কেন্দ্রীয়
স্নায়ুতন্ত্রের পরিণাম বাড়িয়ে দেয়,
২. Aminophylline: অবসাদকের কাজের
ব্যাঘাত ঘটায়,
৩. নীচের ওষুধগুলি দেহ
থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় অন্তরায় হয় যকৃতের বিপাকে, ফলে দেহের কার্যকারিতা বেড়ে যায়। যেমন-Cimetidine, মুখে খাওয়ার
গর্ভনিরোধক ওষুধ,
Disulfiram, Fluoxetine, Isoniaziol, Ketoconazole, Propoxyphene, Metoprolol,
Propoxyphene, Propranolol, Valproic acid.
৪. এসব ওষুধের কাজ বেড়ে
যায় : Digoxin,
Imipramine ও Despiraminel
Levodopa : পারকিনসনস রোগের কার্যকারিতা কমে যায়। Ranitidinė: ডায়াজেপামের
পাকস্থলী-অস্ত্রের শোষণ কমিয়ে দেয়। Ritampicin: উৎকর্ষতা কমে যায়।
• ব্যবহার :
১. আকুলতা,
২. মানসিক চাপ,
৩. মাংসপেশির স্পন্দন,
৪. ঋতুবন্ধে মনোদৈহিক
বাচালতা,
৫. মস্তিষ্কে
পক্ষাঘাত,
৬. ওপরের চেষ্টীয়
স্নায়ুকোষের অতিতানতা,
৭. শল্যচিকিৎসার
অবসেক হিসাবে,
৮. গর্ভবেদনা,
৯. ধনুষ্টঙ্কার,
১০. গর্ভ-আক্ষেপ,
১১. মৃগী ইত্যাদি।
• মাত্রা:
আকুলতা বা উদ্বেগ-২ থেকে
১০ মিগ্রা (ট্যাব.) প্রতিদিন। অনিদ্রা-৫-৩০ মিগ্রা শোবার সময় খেতে হবে। মাংসপেশির
স্পন্দন (খিঁচুনি)-প্রতিদিন ১০-৩০ মিগ্রা খেতে হবে। শল্যচিকিৎসার আগে-মুখে খেতে
হবে। ইনজেকশন (শল্যচিকিৎসার আগে) : ১০ মিগ্রা শিরায় ইনজেকশন। শিরায় ইনজেকশন :
অন্তর্বীক্ষণ পরীক্ষার আগে ১০-২০ মিগ্রা। প্রসব- বেদনা-৫-১০ মিগ্রা মাংসপেশিতে
ইনজেকশন দিতে হবে জরায়ুতে দু'-তিন আঙুল ঢুকে যেতে পারলে। মৃগীরোগে-১০ মিগ্রা শিরায়
ইনজেকশন। ইনজেকশন চব্বিশ ঘণ্টায় আবার দেওয়া যেতে পারে যদি আক্ষেপ থাকে। মোেট
ইনজেকশনের পরিমাণ হবে ১২০ মিগ্রা। ধনুষ্টঙ্কার-১০-২০ মিগ্রা শিরায়, প্রয়োজনে আবার
ইনজেকশন দিতে হবে। বৃদ্ধ ও দুর্বল মানুষ : ২.৫ মিগ্রা দিনে এক-দু'বার দিয়ে শুরু
করতে হবে। প্রয়োজনে মাত্রা বাড়াতে হবে। শিশু : শল্যচিকিৎসার পর ০.১ থেকে ০.৩
মিগ্রা/দেহের প্রতি কেজি ওজনে, ওষুধের মাত্রা সমান কয়েক মাত্রায় ভাগ করে চার-আট ঘণ্টা
অন্তর নিদানিক সফলতা অনুসারে খাওয়াতে হবে। ইনজেকশন : ২.৫ মিগ্রা থেকে ১০ মিগ্রা
শিরায় খুবই ধীরে ধীরে রক্তে ঢোকাতে হবে। ইনজেকশনের মাত্রা ০.১ থেকে ০.৫ মিগ্রা
দেহের কেজি ওজনে। দরকার পড়লে ৩-৫ মিনিটের ব্যবধানে দিতে হতে পারে। শিরায় ইনজেকশন
দেওয়া সম্ভব না হলে মাংসপেশিতে ইনজেকশন দিতে হবে।
• ডায়াজেপামের বাজারে চালু ওষুধের নাম
ও বন্ধনীর মধ্যে কোম্পানির নাম দেওয়া হল-
Anxol (Sigma Labs),
Calmod (IDPL),
Diaz (Mano Pharma),
Diazecalm (Medo Pharm),
Dizep (Intas),,
CR (Ranbaxy),
Lori (Neon Labs),
Calmpose (Ranbaxy),
Direc-2 (Sun Pharma).
Dizepax (Unimarck),
Dizepax-M (Unimarck),
Elcion- Equimood (Nulife),
Ingratin (Ingas),
Lakpam (Shalaks),
Paxum (East India),
Placidex-2/5/10 (Lupin),
Sedyn (M.M. Lab),
Tensyn (Synokem),
Valium (Nicholas Piramal)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন